ডেস্ক নিউজ : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শহীদ এম মনসুর আলীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনাদর্শ বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুসরণযোগ্য। তিনি (মনসুর আলী) ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আপোষহীন অকুতোভয় এ সংগ্রামী সৈনিক অকাতরে জীবন উৎসর্গ করে নীতি ও নৈতিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তিনিসহ তার পরবর্তী দু’প্রজন্মের জাতীয় সংসদে অবদান নিয়ে সংকলিত ‘সংসদে তিন প্রজন্ম’ গ্রন্থটি ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ বাংলা একাডেমীর আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম সম্পাদিত ‘সংসদে তিন প্রজন্ম’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পানি সম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদের সভাপতি এ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় এবং বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় ‘সংসদে তিন প্রজন্ম’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
স্পিকার বলেন, শহীদ এম মনসুর আলীর দর্শন ও আদর্শকে ধারণ করে পিতার পথ অনুসরণ করে মোহাম্মদ নাসিমও জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, নাসিম আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে কারাবরণ করেছেন বহুবার – তবুও নীতি আদর্শ থেকে তিনি বিচ্যূত হননি। মোহাম্মদ নাসিমের পুত্র তানভীর শাকিল জয় তরুণ সংসদ সদস্য হিসেবে তার প্রতিভা ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘সংসদে তিন প্রজন্ম’ গ্রন্থটি সংসদীয় রীতি নীতি ও বিতর্কের ধরন সম্পর্কে জানতে তরুণ ও ভবিষ্যত সংসদ সদস্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এ সময়ে তিনি প্রবীণ রাজনীতিবিদদের বই রচনায় অধিক আগ্রহী হওয়ার জন্য আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযদ্ধে শহীদ, ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য শহীদ, জেলাখানায় শহীদ জাতীয় চার নেতা এবং গতকাল প্রয়াত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগ সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মাতা মরহুম ফজিলাতুন্নেছার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্মৃতি সংসদের সদস্যবৃন্দ, বুদ্ধিজীবি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। (বাসস)